লেটেস্ট

Post Top Ad

Your Ad Spot

Thursday, June 11, 2020

প্রতিদিনের প্রয়োজনে বাইসাইকেল কমিউটিং: সমস্যা ও সমাধান

আমরা অনেকেই সাইকেল চালাই; অবসরে, ছুটির দিনে, ভোরে অথবা প্রতিদিনের প্রয়োজনে। আবার অনেকেই প্রতিদিন অফিসে, বাজারে সব কাজেই সাইকেল ব্যবহার করেন। অনেকে বিভিন্ন সমস্যার কারণে রাস্তার অগণিত জটিলতায় পড়লেও প্রতিদিনের কাজে সাইকেলে কমিউটিং করতে পারেন না। আসুন, প্রতিদিনের এই সমস্যাগুলোর সমাধান খুজিঃ

১। “আমার প্রচুর ঘাম হয়ঃ”

খুব কমন সমস্যা। ঘাম শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পোশাক হিসেবে সুতি কাপড়ের পরিবর্তে পলিস্টার কাপড় ব্যবহার করুন, যা শরীরে লেপ্টে থাকবে না, বরং বাতাসে দ্রুত শুকিয়ে যাবে। এছাড়া গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে ডিহাইড্রেশন এড়াতে খাবার স্যালাইন পান করতে পারেন

২। “আমার অফিসে তো শাওয়ারের ব্যবস্থা নেই, থাকলে সাইকেলে অফিস করতামঃ”

ভাই, সুবিধা কেউ করে দেয় না, কৌশলে ম্যানেজ করতে হয়। শাওয়ারের ব্যবস্থা না থাকলে কি আর করা। টাওয়েল ভিজিয়ে গা স্পঞ্জ করে নিন, ৫মিনিটে ঝামেলা শেষ। আমার নিজের অফিসে টাওয়েলও নাই। রুমাল ভিজিয়ে স্পঞ্জ করি, হ্যান্ডওয়াস দিয়ে ধুয়ে ডেস্কে শুকাতে দিই, অফিসে বডি স্প্রে থাকে, ব্যাস আমি ফ্রেশ।

৩। “ভেজা কাপড়ে সারাদিন বসে থাকতে অস্বস্তি লাগে”

কে কইসে ভেজা কাপড়ে বসে থাকতে? হালকা কাপড় পরে যাবেন, ব্যাগে করপোরেট ড্রেস নিয়ে যাবেন। ব্যাকপ্যাক নিলে আরো ঘেমে যান? সাইকেলে ক্যারিয়ার লাগিয়ে নেন। এমটিবি’র জন্য এ্যলয় ক্যারিয়ার খুজলেই পাবেন।

৪। “বৃষ্টিতে ভিজে, কাদা লেগে সাইকেলের স্কিন ডিসকালার হয়ে যাবে”

মজা লন? বৃষ্টিতে জ্যাম আরো বেশি থাকে। জ্যামে বসে বাসের যাত্রিদের শরীরের ঘাম যখন আপনার স্কিনে পড়ে তখন? এলয় সাইকেল হাজার বৃষ্টিতে ভিজলেও কোন ক্ষতি হয় না। হ্যা, যেটা হবে, চেইন ভিজে জং ধরবে। যা করবেন, ৫ মিনিট টাইম দেন, শুকনা কাপড় দিয়ে ভেজা চেইন মুছেন, ফোটা ফোটা লুব অয়েল পুরো চেইনে দিয়ে আবার মুছে নেন, আর লাগবে না। পুরো ডিগ্রিজিং-লুবিং উইকএন্ডের জন্য রেখে দেন।

৫। “ঢাকার রাস্তায় বাসওলারা সাইক্লিস্টদের মানুষ মনে করে না, তার উপর সাইকেল-লেন নাই ”

কী আর করবেন, গরিব দেশে জন্মাইসেন। আফসোস করে তো লাভ নাই। নিজে ভালো তো জগত ভালো। ট্রাফিক রুল মেনে চলেন, রাস্তার একবারে বাম কিনার সাইডটা নিজের করে নেন, গতিসীমিত রাখেন, প্রতিদিন কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বের হন, দেখবেন পরিস্থিতি অনেক ফ্লেক্সিবল মনে হচ্ছে।

৬। “যদি পাংচার খাই?”

নিজের ব্যাগে বা ফ্রেম ব্যাগে একটা টিউব, লিভার আর ছোট পাম্পার রাখেন, ক্যাচাল শেষ। পাংচার খেলেও ১০ মিনিটের মামলা। বাসায় এসে না হয় আরাম করে পট্টি মারবেন। যদি একদিনে দুইটা পাংচাও খান, কপাল খারাপ, আপনার জন্য ১ মিনিট নীরবতা

৭। “অফিসে সাইকেল রাখবো কই”

এটাই বলতে পারেন সবচে বড় সমস্যা। আমার অফিসেও গ্যারাজে গার্ড নাই। কী আর করবো, দুইটা এসএস (stainless steel) এর শিকল দিয়ে বেধে রেখে চলে আসি। বাকি আল্লাহ ভরসা।

আলসেমি, ঝুকি, গরম, প্রতিবন্ধকতা সত্যিই অনেক। তবে বাইক কমিউটিং আপনাকে ফিসিক্যাল এক্সারসাইজের কিছু সুযোগ করে দেবে, যা বর্তমান জীবনে অসম্ভব। আর সবচে বড় সুবিধা, আপনার অনেক সময় বাচিয়ে দেবে, যা আপনি পরিবারকে দিতে পারবেন। এটির মূল্যায়ন অর্থের মাপে হয় না।

©NILOY CHAKLADER

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot