লেটেস্ট

Post Top Ad

Your Ad Spot

Tuesday, June 16, 2020

সাইকেলে কক্সবাজার

কোয়ারেন্টাইন আর এই লকডাউনে থাকতে থাকতে পুরান ভ্রমণের স্মৃতি রোমন্থন করাই একমাত্র উপায় । গত ডিসেম্বরে মেরিন ড্রাইভে সাইকেল চালাতে গিয়েছিলাম । ভাবলাম আপনাদের একটু শুনাই কি করলাম ...

সাইকেলে কক্সবাজার ঃ
সেই ২০১৯ এর জানুয়ারিতে আমি তাশরিফ আর খারাচেন রবি [সারাসেন চালায় ]বাইক প্যাকিং এ বিডিসির সাথে গিয়েছিললাম ৩ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি রাংগামাটি বান্দরবান.. ( ডিম পাহাড় থানচি আলীকদম না)। তখনই নেক্সট লং রাইড প্ল্যান করি যে মেরিন ড্রাইভ যাওয়া উচিত। তো আশা ছিল কয়েকদিনের মাঝেই যাবো সেই আশা পুরন করতে করতে এই ডিসেম্বর। মাঝে দিয়ে বয়স বেড়ে গেছে ১ বছর। রোজার ইদে তাশরিফ জাহাজে ডিউটি দিচ্ছে আমি তখনই দিয়ে দিতাম মেরিন ড্রাইভ। কিন্তু শকুন এর দোয়ায় গরু মরে গেলো। এক্সিডেন্ট করে পুরা রোজার বন্ধে আমি বাসায়। ঘুরে ফিরে বছর শেষে আবারো আমি, তাশরিফ আর রবিদা। ভাবলাম ৪ জন নিলেই বেটার হয় কাউসার ভাই যোগ দিলেন আমাদের সাথে। এই উপলক্ষে তাশরিফ এর নতুন কোর ২৭.৫ ও কিনে ফেললো ।

অনেক জল্পনা কল্পনা প্ল্যান শেষে ১৬ ডিসেম্বর রাতে রওনা দেওয়ার তারিখ ঠিক হলো..
১ম দিন ঃ ১৭ ডিসেম্বর ( চাঁদপুর - চৌরাস্তা - রামগঞ্জ - চাটখিল - সোনাইমুড়ী - মহীপাল বারৈয়ারহাট - সীতাকুণ্ড- চট্টগ্রাম ( আগ্রাবাদ) [ ১৯২ কিলো ]
এমনিতে ঢাকা থেকে চিটাগং২৬৯ কিলো ম্যাপ এ। একদিনে হটাৎ করে এতোদূর চালানো একটা প্যারার ব্যাপার ভেবে ভাবলাম হাল্কা অপরিচিত চাদপুরচিটাগং রুটে যাই। ম্যাপ এ হিসাব করলাম ১৮৪ কিলো হয়। রবি ভাই নাকি আগে কখনোই এতো কিমি একসাথে চালায় নাই তাই একটু প্যারা দিচ্ছিলেন [সেই জন্য উনাকে বলা হলো মাত্র ১৪০ কিমি ১ম দিন] রাতের লঞ্চ এ কাউসার ভাই বাদে কেউই চোখ লাগাতে পারে নাই। কার্ড খেলে সময় কাটিয়ে দিলাম। আর লঞ্চ চাঁদপুর নামিয়ে দিলো ৪.১৫ এ। ট্যুরের প্রথমদিন আমার এম্নিতেই মেজাজ এক্টু খারাপ থাকে কারণ সাইকেলে কোন না কোন ঝামেলা হবেই শুরুতে। আগের বারের অভিজ্ঞতা বলে রাস্তায় প্রচন্ডখিদা লাগে এই ঠান্ডায় আমি নেমেই পরটা খেতে বসে গেলাম। বাকি সবাই চা খেলো। নেক্সট স্টপেজ চাটখিল তাশরিফের বাড়িতে নাস্তা আর অল্প ঘুম হবে যেহেতু কেউ রাতে ঘুমায় নাই।
চালিয়ে চাটখিল পৌছালাম ৮টার দিকে। সেই একটা নাস্তা করা হলো। বের হওয়ার সময় ১০ টা দিলেও ঘুমিয়ে ১১ টা বাজিয়ে সাড়ে ১১ টায় বের হলাম। গন্তব্য মহীপাল। ওখানে দুপুরের খাওয়া হবে। রাস্তা মোটামুটি সুন্দর। বড় গাড়ি অনেক্ষন পর পর আসে। প্রথম দিন এই পথের মাঝের এক্টা ব্রিজ এ আড্ডা হয়। রবি ভাই রেলিং এ শুয়ে আছেন এইটা সেই ব্রিজের ছবি। এখান থেকে আরো ১০০ কিলো তাকে জানানো হলে তিনি ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে জীবন দেওয়ার চেষ্টা করেন। ফেনির মহিপালে এ ব্রেক দিয়ে খাওয়া হলো। কাউসার আর রবি ভাই নান রুটি ভাজি এবং আমরা গরুর ভুরি দিয়ে ভাত মারলাম কারণ চিটাগাং বহু দুর। মনে হচ্ছিলো সীতাকুন্ড বা বারৈয়ারহাট থেকে যাই হোটেলে। ঠিক হলো খাওয়ার পর খালি টান হবে। মুতা আর নামাজের ব্রেক দেওয়া হবে এক্টা একটা। শুরু হলো কঠিন টান। বারৈয়ারহাট হাটে মাগঅরিবের ব্রেক দিলাম। সাইনবোর্ড দেখাচ্ছে এখান থেকে আরো ৬৯ কিমি চিটাগ। এক্টু ভয় লাগছিল কারণ রাতে কখনোই হাইওয়ে তে এতোদূর চালানো হয়নি। সাথে আরো ৩ জন। এই সেই ভাবতে ভাবতে লাইট সেটাপ করে রওনা দিলাম। কাউসার ভাইয়ের টানের সোদনে আমার কিছু মনে নাই। উনি ২৯ এর চাকায় বিস্ট এর মতো টানে। আমাদের বাকি সবার ২৭.৫। একজন আরেকজনকে পুশ দিচ্ছে। পুশের ঠেলায় আমি ৩/৯ এ উঠায় দিলাম। বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস এর মাঝেও আমরা ৪ জন দরদর করে ঘামছি। প্রতিটা বাজার পার হচ্ছি আর সবাই হা করে তাকিয়ে আছে।
চিটাগং ঢুকার আগ মুহুর্তে আমার কেন জানি মনে হলো এতো জোরে চালায় লাভ কি?? সাথে সাথে ব্যাটারিডাউন। অলরেডি ১৯০ কিমি ছুইছুই। চিটাগং গেট এ রবি আর তাশরিফ কে খুজে পেলাম না। এরপরের এই রাস্তা টুকু আমি আর কাউসার ভাই আস্তে আস্তে চালাইলাম। চট্টগ্রামগেট এ পিক তুল্লাম।
চিটাগং এর সবাই MTB Bangladesh এর সদস্য কেন বুঝতে পারি৷ রাস্তা এমন ভাংগা ডুয়াল সাস বাইক ছাড়া হোগা ৪ ভাগ হয়ে যাবে। এরপর সবাই সহি সালামতে তাশরিফের চাচার বাসায় ঢুকলাম রাত ১১ টায়। ফ্রেশ হয়ে সবাই খেয়ে ঘুম। সবাইকে যে বলবো আগামীকাল রাইড ৮ টায় শুরু এই সুযোগ ও পেলাম না।

সাইকেলে কক্সবাজার
২য় দিন

১৮/১২/১৯ বুধবার।
রুট ( আগ্রাবাদ - শাহ আমানত সেতু - সাতকানিয়া চকোরিয়া - রামু - কক্সবাজার - ফায়ার সার্ভিস)
দুরত্ব - ১৫১ কিমি +
আগের দিন সবাই ১৯২ দিয়ে টায়ার্ড। গত কালের রাস্তা যদিও ওয়ান ওয়ে ছিল আজকে রাস্তা বেশ সরু মাঝে ডিভাইডার নেই আগেই জানতাম বাট জেনেই বা লাভ হলো কি? আগের দিন রাতে ৬৯কিমি চালিয়েছি যতই আগাচ্ছি সামনে ঠান্ডা বেড়ে যাচ্ছে। গাছপালা বেশি ঠান্ডাও বেশি। আজকে প্ল্যান ছিলো রাতে যত কম চালানো যায়।
কিন্তু নাস্তা শেষ করে সাইকেল রেডি করে তাশরিফের চাচার বাসা থেকে বের হতে হতেই সকাল ১১.৩০। চিটাগং থেকে বের হতে হতেই সূর্য মাথার উপরে তার উপস্থিতি বেশ ভালো ভাবেই জানান দিয়ে গেলো। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হাইওয়ে এড়িয়েও যাওয়া যায় আনোয়ারা হয়ে চকোরিয়া উঠে আবার ইদগাও থেকে ডানের শর্টকাট ধরে। তাতে রাস্তা প্রায় ২৫ কিমি কমে। বাট আমাদের ভাগ্য খারাপ৷ আনোয়ারার প্রায় ২৮ কিমি রাস্তা মাঝে ভাংগা তাই সিন্ধান্ত হলো হাইওয়েতেই দরকার হইলে ২০ কিমি বেশি চালানো হবে। কক্স এর হাইওয়ের মাইলস্টোন গুলা উল্টাপাল্ট। অনেক্ষন ধরে একই কিমি দেখায়।
এরপর আবার আমাদের চালানো শুরু হলো রাস্তা বেশ ভালো শুধু স্পীডব্রেকার বেশি। মাঝে সুন্দর এক্টা মসজিদে নামাজের ব্রেক দিয়ে ১ ঘন্টা ল্যাটাইলাম৷ পুকুর ছিল মসজিদের সাম্নে। বেশ সুন্দর এলাকা চন্দনাইশের শেষমাথায়। এরপর এর ব্রেক এ পরটা খেয়ে নিলাম লাঞ্চ এ। এরপর টানা ১৯কিমি চালিয়ে মাগরিবের নামাজ ও লাইট সেটাপ করার ব্রেক দিলাম শাহ সাহেব গেট এ। এইখানের লেবু চা আমার অনেকদিন মনে থাকবে৷ বেশ ভালো ছিলো।
রাত নেমে গেছে এখন কিমি হিসেব করে দেখলাম আরো ৯২ কিমি চলাতে হবে৷ হুট করেই ঠান্ডা বেড়ে যাচ্ছে। একটু জোরে না টানলে হচ্ছে না। সেই হিসেব করলে আবার কাউসার ভাইয়ের সাথে রোলিং মিলে না। বেশ প্যারা খেয়ে গেলাম আমরা। কাউসার ভাই হয় এগিয়ে থাকে নাহয় পিছিয়ে যায়। এক্টা নির্দিষ্ট সময় পরে দেখলাম কারোরই তেমন ঠান্ডা লাগছে না। এর মাঝে কাউসার ভাই উইন্ডব্রেকার খুলে হাফ হাতা জার্সি পরে চালাচ্ছেন৷ মাথাই নস্ট হয়ে গেলো আমাদের দেখে। এর মাঝে আমি কত রাস্তা যে আন্দাজে চালিয়েছি। বাস বা ট্রাকের হেডলাইটের বিম সাইকেলে আমাদের মাথা সমান উচু৷ নাইট ভিশনেও ঠিক পার হওয়ার দুই এক সেকেন্ড কিছু দেখা যায় না। এর মাঝে স্পিড ২২। রাস্তা থেকে নামিয়ে দিয়েছে ৫/৬ বার। ৩ বার স্পিড ব্রেকার এ বসে ছিলাম। উড়ায়া নিসে সাইকেল। কিন্ত কিছু করার নাই।

পথে এক্টা পানি খাওয়ার ব্রেক নিলাম৷ অল্প এক্টু অক্সিজেন নিলেন রবি ভাই। বাজারের মানুষ তাড়া দিয়ে বললো গেলে আগেই যান সামনের পাহাড়ে ডাকাতি হয় গাড়ি কমে গেলে। একে তো ঠান্ডা এর উপর ডাকাতের ভয় এর উপর এখনো ৫২ কিমি বাকি। তাশরিফকে কইলাম ২৬ কিমি চালানোর আগে ব্রেক নাই। রাস্তার পাশে দেখি মানুষ চুপচাপ বসে আছে হাতে দা। এইরকম দেখলেই রাস্তার মাঝে চলে জেতাম সাইকেল নিয়ে। পার হয়ে আয়াবার সাইডে ফিরে চালাতাম। রাস্তায় কি এক মুরগি ( পাথরবোঝাই বড় ট্রাক) পাইলো আমারে রাইখা উনারা ৩৩ কিমি পার হয়ে ব্রেক দিলো। আমিও ২ মিনিট পরে আইসা ধরলাম। কক্সবাজার ১৯ কিমি। হাত পা জমে যাচ্ছে ঠান্ডায়। দেখি রবি ভাই ধুমধাম রুটি মারতাছে হোটেল এ বসে আমরা হাসতে হাসতে শেষ। উনি বলে ভাই রুটিটা না খাইলে মইরাই যাইতাম। আবার এক্টু আড্ডা চললো। পায়ের মাসল ক্র‍্যাম্প হচ্ছিল হাল্কা আমার আর তাশরিফের। অইদিকে কক্সবাজারের জুনায়েদ ভাই সেই দুপুর থেকেই খোজ রাখছিলেন আমরা কই। হোটেল এর দায়িত্ব উনার হাতে দিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত মনে সাইকেল চালাচ্ছিলাম। ৫০০ টাকা করে উনি ২ রুম ম্যানেজ ও করে ফেল্লেন। ফায়ার সার্ভিসএর পাশে।
অইদিকে কিলোমিটার পার হচ্ছে এক এক করে ১৬ কিমি থাকতেই আমার মনে হলো বাহ বাসা থেকে মিরপুর। আবার টানলাম। ১১ টার দিকে কক্সবাজার ঢুকলাম। কক্সবাজারের শহরের রাস্তা মাশাল্লা। আল্লাহ মাফ করুক। ১১.২০ এর দিকে জুনায়েদ ভাই রিসিভ করে রুমে নিয়ে গেলেন। কাউসার ভাই আমাদের অনেক আগেই পৌছে গিয়েছিলেন। আমাদের তখন ভয়াবহ অবস্থা কারো কথা বলার মত শক্তি নাই দুইদিন ঠান্ডায় সাইকেল চালিয়ে। কে জানি বলেছিলো কক্সবাজার এ শীত নাই ওরে পাইলে ধরে মারতাম কতক্ষন। এরপর পাশেই একটা হোটেলে খেয়ে ঘুম দিলাম। তাশরিফ ঘুমাইতে ঘুমাইতে চ্যাট করে। রবি ভাই লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লো। এরপর আর কিছু মনে নাই। কে করবে নেক্সট দিনের প্ল্যান ধুর আগে ঘুম। এইদিন ১৪২ কিমি ম্যাপ এ দেখালেও মন্ডো কাউন্ট করলো ১৫১+ কিমি। গেবন মডু।
এট লাস্ট সাইকেলে কক্সবাজার আসা হলো….

সাইকেলে কক্সবাজার
৩য় দিন
১৯/১২/১৯ [ বৃহস্পতিবার ]
আগের রাতে কক্সবাজার পৌছে এইদিন একটু ঝামেলা লেগে গেলো । এমন মরাঘুম দিয়েছিলাম যে কেউ টের পাইনি। আমি উঠে জুনায়েদ ভাইকে ফোন দিলাম । উনি তখন পৌষি তে নাস্তা করছেন । কাউসার ভাইও উনাদের সাথে [ আরো দুইজন সাইক্লিস্ট ছিলেন একই স্কোয়াডে পাব্জি খেলেন ] অলরেডি বের হয়ে গেছেন মেরিন ড্রাইভের উদ্দেশ্যে । আমাদের তখনো ঘুম ভাংগে নাই । শুয়ে শুয়ে পায়ের অবস্থা দেখলাম । গতকাল্কের ক্র্যাম্পের রেশ এখনো রয়ে গেছে দুইদিনে ৩৫০ কিমি চালিয়ে রবি ভাই তাশরিফ ও একটু ফেডাপ আজকেও বের হবো কিনা ।
কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ হয়ে টেকনাফ ৯০ কিলো । আমি উঠেই প্রস্তাব করলাম যে ধুর সাইকেল চালানো আজকে বাদ অনেক চালাইসি । আজকে রেস্ট আর সী বীচ এ চিল কাউয়া মারা হবে । গেলাম আগের হোটেলেই নাস্তা করতে । এরা সেই লেভেলের মুরগি খিচুড়ি বানায় [ উনাদের মতে তেহারি ] । সেই মজা মাত্র ৫০ টাকা। খেয়ে চা খেয়ে রুমে এসে আরো কতক্ষণ ল্যাটাইলাম। কারণ বাইরে ঠাণ্ডা কমে নাই ।আমরা বিশেষ ঠাণ্ডার জামা কাপড় ও আনি নাই । একটু পরে রোদ উঠলে হাফপ্যান্ট পড়ে চলে গেলাম চিল করতে কলাতলি। মেইন পয়েন্টে দাড়ালে ফার্মগেট মনে হবে এত টুরিস্ট । আমরা সাইডে যাইতে যাইতে একবারে লাস্ট কিটকটের এইদিকে চলে আসলাম ।
বসে বসে রোকেয়া দেখতে থাকলাম আর শুরু হইলো রবি ভাইয়ের ওয়াজ । আর আমাদের বিভিন্ন ক্যাপশনে ছবি তোলা । সমুদ্র পাড়ে আসছি পানিতে নামবো না এইটা কী হয় ??
কিন্তু আশেপাশে সবাই দেখি জ্যাকেট গায়ে দেওয়া । গেলাম আরো সাইডে । হাফপ্যান্ট পড়ে দিলাম লাফ পানিতে । [ ভিডিও হাতে পাই নাই ] উঠে সেই ভেজা জিনিস আবার শুকানো ।
এরপর মানুষের ভিড় বাড়তে থাকলো আমরাও হ্যামক নিয়া আরো দূরে গেলাম । হ্যামক টানিয়ে দেখলেম সুর্যাস্ত। ফিরে এলাম ফার্মগেট মানে কক্সবাজার । সন্ধ্যায় এমন ভিড় ঢাকাতেও হয় না । খোজ লাগালাম বাসের যারা সাইকেল সহ আমাদের নিবে । অনেক রাশ বাসের তাই আর কি করা ভাবতেসি ভাবতেসি । অনেক কষ্টে টিকেট ম্যানেজ করলাম । এরপর খেয়ে দেয়ে ঘুম । ঠাণ্ডা সেই ছিল । এর উপর বোনাস রাস্তা ভাঙ্গা । কোন দুঃখে যে মানুষ কক্সবাজার আসে তাই ভাবতাসিলাম ......

৪র্থ দিন ঃ

মেরিন ড্রাইভ [ শুক্রবার ]

আগের দিনের রেস্ট এ শরীর চাঙ্গা এখন আজকে মেরিন ড্রাইভ চালাবো । সকালে হোটেল থেকে চেক আউট করে নাস্তা করলাম । এতো সকালে এইখানেও মানুষ নাই । নাস্তা শেষে স্টেডিয়াম হাসপাতাল এর গলি ধরে বিচের রাস্তায় উঠলাম । এইখান দিয়ে সোজা গেলেই মেরিন ড্রাইভ । মেরিন ড্রাইভে বড় গাড়ি চলে না । ব্যাক্তিগত গাড়ি আর অটো । সকালে শুরু করেই বেশ ভালো লাগছিলো । এর মাঝে বিডিরানার্স এর ৩ জনের সাথে হাই হ্যালো হলো । উত্তরের বাতাসে দক্ষিন দিকে যেতে বেশ আরাম লাগে । বিকাল ৫ টায় বাস সেই হিসেব করে ফিরতে হবে । ফেরার পথে হেড উইন্ড চেপে ধরলো । ৩ জন ছিলাম ৩ মাথায় । ইনানীর আগে একটা ঝাউবন দেখে গিয়েছিলাম । এসে এইখানে ডাব আর হ্যামক নিয়ে বসে গেলাম । দোকানি আমাদের বয়সী ভাব হয়ে যাওয়ায় নিজের হ্যামক নিয়ে এসে টানায় দিলো । কক্সবাজারের মানুষ সাইকেল কে চাইরকেল বলে । আশে পাশে বেশ পিচ্চি পাচ্চি জুটে গেলো । রোদ পড়ে আসলে কক্সবাজার এর দিকে ব্যাক করা শুরু করলাম । আজকে শুক্রবার মেরিনে বেশ রাশ । এতো গাড়ি আর অটো । কোন মতে ফিরেই কিছু মুখে দিয়ে বাসের অপেক্ষা করতেছিলাম । বাসের ছাদে সাইকেল তুলে দিয়ে বাসে উঠার মাধ্যমে আমাদের মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণ শেষ ।

[ পরিমার্জিত ও সংক্ষেপিত ]
[ একটা ছবি আগের । এই রাস্তায় এইবার ছবি তোলা হয়নি তাই রাস্তার সম্মানে আপ দেওয়া হয়েছে ]

© মুসলেহ উদ্দিন নাজিব

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot